(MUGHAL HISTORY ) মুঘল ইতিহাস

 

• মুঘল ইতিহাস জানার উৎস:

 

        গ্রন্থ.                                                        লেখক:

 

  • আকবরনামা, আইন-ই-আকবরী   -   আবুল ফজল

  • আলমগীরনামা  - মীর্জা মহম্মদ কাজিম

  • তুজুক-ই-বাবরী (বাবরের আত্মজীবনী)  - বাবর

  • তুজুক-ই-জাহাঙ্গীর (জাহাঙ্গীরের আত্মজীবনী)  জাহাঙ্গীর

  • হুমায়ুননামা  - গুলবদন বেগম (বাবরের কন্যা)

  • মস্তাখাব-উৎ- তোয়ারিখ/মুন্তাখাব-উল-তারিখ   -  বদায়ুনী

  • তারিখ-ই-শেরশাহী  - আবাস খাঁ শেরওয়ানী

  • পদ্মাবৎ (হিন্দী)   - মালিক মহম্মদ জয়সিয়া

  • তারিখ-ই-ফিরোজশাহী    - জিয়াউদ্দিন বারনী

  • শাহজাহাননামা  - ইনায়েৎ খাঁ

 

রাজম্মামা হল মহাভারতের ফার্সি অনুবাদ।

 

JOIN TELEGRAM - https://t.me/MackTrick01

 



* বাবর:

 

বাবরের প্রকৃত নাম-জাহিরউদ্দীন মহম্মদ বাবর।


বাবা: ওমর শেখ মির্জা (তুর্কীবীর তৈমুর লঙের বংশধর)।


মাতা: কুতলু নিগর খানম্।


১৪৯৪ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবর ফরঘনা রাজ্যের রাজা হন।


পানিপথের প্রথম যুদ্ধঃ ১৫২৬ সালের ২১শে এপ্রিল।

প্রতিপক্ষ: ইব্রাহিম লোদী।


পাঞ্জাবের শাসনকর্তা দৌলত খাঁ লোদী এবং সুলতানের আত্মীয় আলম খাঁর আমন্ত্রণে কাবুলের অধিপতি বাবর প্রথম পানিপথের (২১ এপ্রিল, ১৫২৬) যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাস্ত ও নিহত করেন।


ভারতবর্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের (কামানের) সাহায্যে যুদ্ধ তিনিই প্রথম করেন।


খানুয়ার যুদ্ধ: ১৫২৭ সাল।


প্রতিপক্ষ: মেবারের রাণা সঙ্গ বা সংগ্রাম সিংহ।


১৫২৯ সালে ঘর্ঘরা/গোগরার যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীর ভাই মামুদ লোদী এবং বাংলার সুলতান নসরৎ শাহকে পরাজিত করেন।


১৫৩০ সালে আগ্রায় তিনি মারা যান এবং কাবুলের আরামবাগে সমাধিস্থ করা হয়।


গোলাপ চাষ শুরু হয় বাবরের আমল থেকেই।


বাবরের সমসাময়িক ছিলেন বাংলার হুসেনশাহী সুলতান নসরৎ শাহ।


New Notes & PDF – 7003600355


* হুমায়ুন:

 

হুমায়ুন কথার অর্থ-ভাগ্যবান।


হুমায়ুন ১৫৩০ সালে দিল্লীর সিংহাসনে বসেন।


চৌসার যুদ্ধ: ১৫৩৯ সালের ২৭শে জুন। প্রতিপক্ষ: শেরশাহ। হুমায়ুন পরাজিত হন।


কনৌজ বা বিল্লগ্রামের যুদ্ধঃ ১৫৪০ সালের ১৭ই জুন হুমায়ুন সম্পূর্ণরূপে শেরশাহের কাছে পরাস্ত হন।


হুমায়ুন পারস্যে পালিয়ে যান।

 

১৫৫৬ সালে গ্রন্থাগারের সিঁড়ি থেকে পড়ে মারা যায় এবং দিল্লীতে সমাধিস্থ করা হয়।

 

হুমায়ুনের বোন (বাবরের কন্যা) গুলবদন বেগম 'হুমায়ুননামা' রচনা করেন।

 

* শেরশাহ ও শূর সাম্রাজ্য: (১৫৪০-১৫৫৫ সাল)

 

বহুলুল লোদী হলেন প্রথম আফগান যিনি দিল্লীর মসনদে বসেন। (১৪৫১ সাল)।

 

দ্বিতীয় আফগান শাসন শুরু করেন- শেরশাহ (১৫৪০ সাল)

 

শেরশাহের প্রকৃত নাম: ফরিদ খাঁ।

 

১৫৪৫ সালে কালিঞ্জর দুর্গ অবরোধ কালে বারুদের স্তূপে আগুন লেগে মারা যান।

 

বিহারের সাসারামে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

 

শেরশাহ জমি জরিপ করার প্রথা চালু করেন।

 

 

* শেরশাহের শাসনব্যবস্থা:

 

চারজন মন্ত্রী: দেওয়ান-ই-উজিরাৎ, দেওয়ান-ইন-রিসাসৎ ও দেওয়ান-ই-ইনসা ও দেওয়ান-ই-আর্জ।

 

শেরশাহ কবুলিয়াৎ ও পাট্টা প্রথার প্রবর্তন করেন। এর মাধ্যমে সরকার ও চাষীর মধ্যে দেনা-পাওনার কথা লেখা থাকত।

 

তিনি গ্রান্ড ট্র্যাঙ্ক রোড অর্থাৎ 'সড়ক-ই-আজম' নির্মাণ করেন। পূর্ববঙ্গের সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু নদ (১৫০০ মাইল বা ২৮০০ কিমি) পর্যন্ত।

 

শেরশাহ ঘোড়ার পিঠে করে ডাক চলাচলের ব্যবস্থা করেন। অধিকর্তা ছিলেন-দারোগা-ই-ডাক চৌকি।

 

শেরশাহ 'রূপয়া' নামে রৌপ্যমুদ্রা এবং 'দাম' নামক তাম্র মুদ্রার প্রচলন করেন (১৫৪২ সাল)।

 

তাঁর বিশ্বস্ত হিন্দু সেনাপতি ছিলেন-ব্রহ্মজিৎ গৌড়।

 

JOIN TELEGRAM - https://t.me/MackTrick01


* আকবর: (১৫৫৬-১৬০৫ সাল)

 

জন্মঃ সিন্ধুপ্রদেশের অমরকোটে ১৫৪২ সালে।

 

হিমু দিল্লী, আগ্রা জয় করে 'বিক্রমজিৎ' উপাধি নেন। (বিজাপুরের আদিলশাহের মন্ত্রী)।

 

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধঃ ১৫৫৬ সাল নভেম্বর মাস। মুঘল ও আফগানদের মধ্যে।

 

জায়গীরদার প্রথা আকবর প্রবর্তন করেন।

 

১৫৭৬ সালে হলদিঘাটের যুদ্ধে রাণা প্রতাপ মুঘলদের কাছে পরাজিত হন।

মুঘলপক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন-মানসিংহ ও আসফ খাঁ।

 

আকবর ১৫৮৬ সালে কাশ্মীর এবং ১৫৯৩ সালে সিন্ধুপ্রদেশ জয় করেন।

 

১৬০১ সালে আসীরগড় দুর্গ জয়ই ছিল আকবরের জীবনের শেষ যুদ্ধাভিযান।

 

গুজরাট জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে তিনি ফতেপুর সিক্রিতে বুলন্দ দরওয়াজা নির্মাণ করেন।


 New Notes & PDF – 7003600355


আকবর ১৬০৫ খ্রীষ্টাব্দে মারা যান (Bloody dysentry-তে আক্রান্ত হয়ে)। সেকেন্দ্রাতে সমাধিস্থ করা হয়।

 

আকবরের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন-টোডরমল।

 

টোডরমল প্রবর্তিত রাজস্ব সংস্কার- টোডরমল ব্যবস্থা বা জাবতি ব্যবস্থা নামে খ্যাত। ১৫৮২ সালে জাবতি ব্যবস্থা আকবর প্রবর্তন করেন। খাজনা সংক্রান্ত টোডরমল ব্যবস্থা 'দহশালা' নামে পরিচিত।

 

আকবর ১৫৭৫ সালে ইবাদত খানা (ফতেপুর সিক্রীতে) নির্মাণ করেন।

 

JOIN TELEGRAM - https://t.me/MackTrick01

 

আকবর ১৫৭৯ সালে মনসবদারী প্রথা চালু করেন।

 

মনসব শব্দের অর্থ মর্যাদা (পদমর্যাদা)।

 

দীন-ই-ইলাহীর অর্থ দেবাদেশ বা স্বর্গীয় একেশ্বরবাদ।

 

১৫৮২ সালে দীন-ই-ইলাহী প্রবর্তন করেন।

 

আকবরের হিন্দু মন্ত্রী বীরবল, আবুল ফজল ও ফৈজী এই ধর্মমত গ্রহণ করেন। প্রথম গ্রহণ করেন বীরবল।

 

আকবরের সভাকবি-সঙ্গীতজ্ঞ তানসেন। তানসেনের আসল নাম রামতনু পাণ্ডে।

 

আকবর তীর্থকর (১৫৬৩ সাল) ও জিজিয়া কর (১৫৬৪ সাল) তুলে দেন।

 

আকবরের রাজসভায় নবরত্ন বিরাজ করতেন।

 

র‍্যালফ পিচ (ইংরেজ) আকবরের আমলে এসেছিলেন (১৫৭৫ সাল)।

 

তুলসীদাস (দ্বিতীয় বাল্মিকী)-রামচরিত মানস-এর রচয়িতা।

 

সুরদাস-সুর-সাগর, সুর-সারাবলী রচনা করেন।

 

আবুল ফজল-আইন-ই-আকবরী ও আকবরনামা। (আবুল ফজল না থাকলে আকবরনামা-র রচয়িতা হবে ফৈজী)।

 

নিজামউদ্দীন আহমেদ - তবাকৎ-ই-আকবরী।

 

বদায়ুনী-মুন্তাখাব-উল-তারিখ।

 

New Notes & PDF – 7003600355


আকবর চেয়েছিলেন-দার-উল-হার্ব অর্থাৎ অমুসলমানদের দেশ।

 

 

* জাহাঙ্গীর: (১৬০৫-১৬২৭ সাল)

 

আসল নাম - সেলিম (আকবরের জ্যেষ্ঠপুত্র)

 

উপাধি: নূরুদ্দীন মহম্মদ জাহাঙ্গীর বাদশাহ গাজী।

 

আহম্মদনগরের মন্ত্রী মালিক অম্বরকে যুবরাজ খুররম পরাস্ত করলে জাহাদীর খুররমকে শাহাজাহান উপাধি দেন।

 

 

আত্মচরিত তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী (তুর্কীভাষায় লেখা)।

 

তিনি পঞ্চম শিখগুরু অজুর্নকে হত্যা করেছিলেন।

 

লাহোরে মতি মসজিদ নির্মাণ করেন।

 

তিনি যষ্ঠ শিখশুরু হরকিযাণকে হত্যা করেছিলেন।

 

নূরজাহান: জাহাঙ্গীরের প্রিয়তমা পত্নী। অর্থ জগতের আলো।


তাঁর পূর্ব নাম ছিল-মেহেরউন্নিসা। জাহাঙ্গীরই তাঁর নাম দেন নূরজাহান।


নূরজাহানকে বাদশা বেগম বা সাম্রাজ্যের প্রথম নারীর সম্মান দেওয়া হয়। স্মিথ নূরজাহানকে সিংহাসনের পশ্চাদের শক্তি (Power behind the throne) বলেছেন।

 

ইংল্যান্ডের যুবরাজ প্রথম জেমসের দূত হিসাবে ক্যাপ্টেন হকিন্স (১৬০৮ সাল) এবং এডওয়ার্ড এবং স্যার টমাস রো (১৬১৫ সাল) জাহাঙ্গীরের দরবারে এসেছিলেন।

 

জাহাঙ্গীরের সমাধি: লাহোরে।

 

New Notes & PDF – 7003600355


শাহজাহান (১৬২৭-১৬৫৮ সাল):

 

পূর্বনাম: খুররম (জাহাঙ্গীরের তৃতীয় সন্তান)।

 

তাঁর রাজত্বকালকে মোগল আমলের 'স্বর্ণযুগ' (Golden Age) বলা হয়।

 

তিনি মমতাজের স্মরণে আগ্রার যুমনার তীরে তাজমহল নির্মাণ করেন। ২২ বছর সময় ও ৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। (১৬৩২-১৬৫৩ সাল)।

প্রধান স্থপতি ছিলেন-ওস্তাদ ঈশা (পারস্যের)। নাদির সমরকান্দি ও উল্লেখযোগ্য স্থপতি ছিলেন।

 

শাহজাহান (বেবাদল খাঁর তত্ত্বাবধানে) এক কোটি স্বর্ণ মুদ্রা দিয়ে ময়ূর সিংহাসন নির্মাণ করেন (১৬২৮-১৬৩৫ সাল)।

 

পারস্য সম্রাট নাদির শাহ কোহিনূর হীরার সাথে এটি নিয়ে যান।

 

দিল্লীর 'জামা মসজিদ' 'জুম্মা মসজিদ' শাহাজাহানের তৈরী।

 

শাহজাহান শিশমহলও তৈরী করেন।

 

আগ্রার মোতি মসজিদ (আকবর নির্মিত আগ্রা ফোর্টে অবস্থিত) শাহজাহানের স্থাপত্য কীর্তি। আগ্রাফোর্ট লালপাথরের তৈরী।

 

শাহজাহান নির্মিত আগ্রার জাম-ই-মসজিদ, মসজিদ-ই-জাহাননামা নামে খ্যাত। খাসমহল-শাহজাহানের নির্মিত। ।

 

বার্ণিয়ে শাহজাহানের রাজত্বকালে এদেশে এসেছিলেন

 

শাহজাহানের সমাধি-তাজমহল-এ।

 

JOIN TELEGRAM - https://t.me/MackTrick01

 

ঔরঙ্গজেব: (১৬৫৮-১৭০৭)
 

ঔরঙ্গজেব পিতা শাহজাহানকে বন্দী করে সিংহাসনে বসেন ১৬৫৮ সালে এবং বন্দী অবস্থায় শাহজাহান ১৬৬৬ সালে মারা যান।

 

উপাধিঃ আলমগীর, বাদশাহ (সম্রাট) ও গাজী (ধর্মযোদ্ধা)।

 

দারা শিকোহ ও শাহজাহানের সম্মিলিতবাহিনীকে ঔরঙ্গজেব সামুগড়ের যুদ্ধে (১৬৫৮ সাল) পরাজিত করে দিল্লীর সিংহাসনে বসেন।

 

ধর্মাটের যুদ্ধে (The battle of Dharmat) ঔরঙ্গজেব দারাকে পরাজিত ও নিহত করেন।

 

ঔরঙ্গজেবের আমলে মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি চরম সীমায় পৌঁছায়।

 

ঔরঙ্গজেবের সেনাপতি মীরজুমলা কুচবিহার ও অহোম জয় করেন।

 

ঔরঙ্গজেব জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন (১৬৭৯ খ্রীষ্টাব্দে)।

 

দিল্লীর রেডফোর্টে মতি মসজিদ নির্মাণ করেন।

 

তাঁকে 'দরবেশ' ও 'জিন্দাপীর' বা জীবন্ত সাধুও বলা হয়।

 

নবম শিখগুরু তেগবাহাদুরকে তিনি হত্যা করেন।

 

১৬৮৯ সালে মারাঠা রাজ শম্ভুজীকে তিনি নৃশংসভাবে হত্যা করেন।

 

JOIN TELEGRAM - https://t.me/MackTrick01

 

ফতেয়া-ই-আলমগিরি নামক মুসলমান আইনের মূল্যবান সংকল্পটি রচনা করেছিলেন শেখ নিজামি।

 

মানুচী নামক ইতালীয় পর্যটক এই সময় ভারতে এসেছিলেন।

 

তিনি 'নওরোজ উৎসব' নিষিদ্ধ করেন ও 'মহরম উৎসব' বন্ধ করে দেন।

 

তিনি 'ঝারোখা দর্শন' প্রথা তুলে দেন।

 

 To purchase these notes in PDF ,  https://chat.whatsapp.com/EHyyEb9ulIrImqKg61RVtG

Post a Comment

Previous Post Next Post